সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, আপনারা যারা অনলাইনের মাধ্যমে জমির মালিকানা যাচাই, জমির খতিয়ান জমির পর্চা, অনলাইনে জমি রেকর্ড বের করার নিয়ম, নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই, জমির খতিয়ান চেক ও দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তারা এই আর্টিকালের মাধ্যমে সমস্ত বিষয় জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। আর এই আয়তনের মধ্যে কোটি মানুষের বসবাস রয়েছে। যা জমির পরিমাণের তুলনায় জনগণের চাপ অতিরিক্ত। আর তাই তো দেখা যাচ্ছে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ খুবই কমে যাচ্ছে। যে হারে জনগণ বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে যদি জমির পরিমাণ স্বল্প হয়ে যায় তাহলে এক সময় দেখা যাবে যে, ফসলাদি ফলনের জন্য কোনরকম জমি পাওয়া যাবেনা।
আর এই জমি দিন দিন এতটাই মূল্যবান হয়ে যাচ্ছে যে যা কল্পনার বাহিরে। একখণ্ড জমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে, ভাই ও বোনে এবং পাড়া-প্রতিবেশী নিকট আত্মীয় সঙ্গে রক্তপাতের সৃষ্টি হচ্ছে। এক টুকরো জমি কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না বর্তমান সময়ে। আর তাইতো দেখা যায় যে গ্রাম পর্যায়ের আদালত থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের থানাগুলোতে জমি নিয়ে ফৌজদারি মামলা বেশি দেখা যাচ্ছে। আর থানাগুলোতে বেশিরভাগ জমি নিয়ে মারামারি তো রয়েছেই এমনকি খুনখারাবিও মামলা থানা গুলোতে বেশিরভাগ পড়ে।
অনেকেরই প্রচুর সম্পদের মালিক কিন্তু জমি জায়গার হিসাব ততটা মাথায় রাখে না। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প সময় ব্যয় করে কিন্তু জমির খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে খেয়াল রাখতে পারেন। অনেকেই রয়েছে যে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জানেনা। আর এই না জানার কারণে সেই ব্যক্তিটির অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
আবার অনেকেই রয়েছে যে যারা জমি কেনার জন্য নানারকম দালালের চক্রান্তে পড়ে যায়। আর এমন অবস্থায় দেখা যায় একদিকে যেমন অর্থের প্রচুর ব্যয় হয় আর অন্যদিকে সময় তার অপচয় হয়। নিজেই কোন কিছু না জানলে অন্যকে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দালালরা মোটা অংকের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে। আপনি কেন অন্যকে টাকা দিবেন? কেন খামাখা আপনার সময়টি অপচয় করবেন? এই প্রশ্নগুলো যখন নিজের মনে জাগে তখন গা শিহরে ওঠে। আর তাই চোখ কান খোলা রেখে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাবে। বিশেষ করে জমির ব্যাপারে একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। তাই অনেক কিছু জানার আপনার বাকি রয়েছে। আর যদি জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন অনেক বিষয়ে আপনার জানা হয়ে যাবে।
- বোনাসঃ
- E Porcha/ ই পর্চা খতিয়ান, ই পর্চা আবেদন- www.eporcha.gov.bd যেকোনো খতিয়ান দেখতে ভিজিট করুন
- অনলাইনে জমির খতিয়ান বা পর্চা ডাউনলোড করার নতুন নিয়ম-২০২৩ । eporcha govt bd
- অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আবেদন ২০২৩ । NID bd
- অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় 2023 । nid card download
আপনার কাছে টাকা রয়েছে আপনি জমি কিনতে চান? কিন্তু কি কি বিষয়গুলো জানা না থাকলে জমি কেনার জন্য নানা রকম বিভ্রান্তির শিকার হতে হয়। সে বিষয়গুলো যদি জানেন তাহলে কোনরকম ঝামেলা পোহাতে হবে না। আপনি যদি কোন এক জায়গায় জমি কিনতে চান এবং সেই জমির মালিক যদি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলে তাহলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনি আপনার খতিয়ান নম্বর এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকানা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারবেন। আর এতে করে আপনি প্রতারণা চক্র থেকেই অনেকটাই রেহাই পাবেন। এছাড়াও আপনি কোন জমির করার পরে তার সরকারি খাতায় নাম উঠেছে কিনা তার জন্য জমির মালিকানা দেখতে হয়।
জমির মালিক না যাচাই এর ক্ষেত্রে আপনাকে ভূমি অফিসে যেতে হবে না। তাহলে কিভাবে আপনি জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন সে বিষয় নিয়ে চিন্তিত? সত্যিকার অর্থে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। যদি থাকে আপনার কাছে একটি স্মার্ট ফোন আর সাথে যদি থাকে internet কানেকশন। আপনার ফোনটি ব্যবহার করে আপনি আপনার খতিয়ান নম্বর দিয়ে খুব সহজে জমির মালিকানা জানতে পারবেন।
আচ্ছা আপনি কি অনলাইনের মাধ্যমে নামজারি খতিয়ান এবং বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান বের করতে পারবেন? আর যদি বের করতে না পারেন তাহলে আমাদের এই পোস্ট আপনাকে জানাই আবারো একবার স্বাগতম। কারণ আজকে আমরা আপনাদের হাতে-কলমে শিখিয়ে দেবো কিভাবে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খতিয়ান সমূহ দেখতে পারবেন। আপনারা eporcha.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। আর সেখানে কিছু তথ্য রয়েছে যা পূরণের মাধ্যমে আপনারা জমির মালিকানা খুব সহজে দেখতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন খতিয়ান কিভাবে সংগ্রহ করতে হয় তাও আপনাদের আজকে আমরা জানিয়ে দেবো। মূলত অনলাইনে জমির মালিকানা দেখতে হলে আপনাকে আর এস খতিয়ান দেখতেই হবে। তাহলে চলুন আর এস খতিয়ান দেখতে হলে কি কি বিষয় অবলম্বন করতে হবে তা জেনে নিন।
আপনি যদি ওয়ান লাইনের মাধ্যমে জমির মালিকানা দেখতে চান তাহলে আপনার ফোনে থাকা যেকোন একটি ব্রাউজারে ওপেন করুন। আর সেখানে গিয়ে সার্চ করুন land.gov.bd লিখে সার্চ করুন। প্রথমে আপনার কাছে যে ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত হবে সেই ওয়েবসাইটে মূলত প্রবেশ করতে হবে। আর এই ওয়েবসাইটের হোম পেজে নিচের দিকে একটু স্কল করলে আর এস খতিয়ান দাগ খতিয়ান নামক একটি অপশন পেয়ে যাবেন। আপনি যদি খতিয়ান নামক অপশনে প্রবেশ করেন তাহলে আর এস খতিয়ানটি নির্বাচন করতে হবে। আর যদি আর এস খতিয়ান এ সরাসরি প্রবেশ করতে চান তাহলে কোন কিছু নির্বাচন করার প্রয়োজন হবে না।
আর এস খতিয়ানে প্রবেশ করার পর আপনাদের বিভাগের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম এবং সর্বশেষ মৌজার নাম অপশন গুলো বেছে নিতে হবে। এই পর্যায়ে যদি আপনি সঠিকভাবে পূরণ করেন তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে আপনি আরো চারটি অপশন দেখতে পারবেন। আর এই চারটি অপশন এর মধ্যে যেকোনো একটি ঐচ্ছিক ভাবে পূরণ করলেই চলবে।
অর্থাৎ আপনার আদেশ খতিয়ান দেখার জন্য আপনি খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বর দিয়ে খুব সহজে খতিয়ান গুলো দেখতে পারবেন। যেকোনো একটি তথ্য পূরণ করা হয়ে যাবে তখন আপনাকে নিচের উল্লেখিত ক্যাপশন কোড পূরণ করতে হবে। আর এই ক্যাপচা কোডটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য আছে আপনি যে রোবট না তা পরীক্ষার জন্য। আর সঠিকভাবে যদি ক্যাপচা পূরণ করতে পারেন পরবর্তী ধাপের জন্য একটু সময় ধরে অপেক্ষা করুন।
পরবর্তী ইন্টারফেসে জমির মালিকানা নাম অর্থাৎ খতিয়ান কার কার নামে আছে তা দেখতে পারবেন। সেই সাথে এক দাগ কতজন মালিক আছে তাও আপনারা সেটা দেখতে পারবেন। আশা করি এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার সঠিক নিয়ম গুলো জানতে পেরেছেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান মূলক পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। আর তাই আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
জমির খতিয়ান বা পর্চা কি? | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
খতিয়ান বা পর্চা একই জিনিস। জমির মালিকানা প্রমাণের সরকারি যে দলিল তাকে খতিয়ান বলে। বিভিন্ন এলাকায় এটাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।
আইনিভাবে খতিয়ানের পরিচয়- আইনিভাবে বলতে গেলে বলা যায় সরকারীভাবে জমি জরিপ করার সময় জরিপের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ফরম নং ৫৪৬২ (সংশোধিত) তে ভুমির মালিকানা/ দাগের বর্ণনাসহ যে নথিচিত্র প্রকাশ করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।
মাঠ পর্চা কি বা মাঠ পর্চা কাকে বলে? | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
জমি জরিপ করার সময় জমির মালিকদেরকে একটি খসড়া খতিয়ান দেওয়া হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। এটাতে কোন প্রকার ভুল থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সহজেই সংশোধন করে নেওয়া যায়।
সুতরাং বলাযায় চুড়ান্ত খতিয়ান প্রকাশের আগে জমির মালিকরা যে খসড়া খতিয়ান ব্যবহার করে তাকে মাঠ পর্চা বলে।
খতিয়ান বের করার নিয়ম বা কিভাবে জমির খতিয়ান উঠাবেন? | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
খতিয়ান উঠানো বা বর্তমানে খতিয়ান বের করার দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি অপরটি হচ্ছে মেনুয়াল পদ্ধতি।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনি দু প্রকার খতিয়ান উঠাতে পারবেন। খতিয়ানের অনলাইন কপি এবং ডাক যোগে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন।
জমির খতিয়ান উঠানোর মেনুয়াল পদ্ধতি হচ্ছে- খতিয়ান নাম্বার বা জমির দাগ নাম্বার নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে যোগাযোগ করে খতিয়ান তোলা।
সেটেলমেন্ট থেকে খতিয়ান উঠাতে ১০০ (একশত) টাকা খরচ হয়। আর অনলাইনে খতিয়ান উঠাতে ৫০ টাকা খরচ লাগবে।
জমির মালিকানা বের করার প্রয়োজন হয় কেন? | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
জমি ক্রয় করার আগে ক্রয়কারিকে অবশ্যই মালিকানা যাচাই করে নিতে হয়। কেননা বাংলাদেশে প্রতারকের অভাব নেই। নকল মালিক সেজেও জমি বিক্রয় করার প্রতারণা করতে পারে অনেকেই।
এছাড়াও জমি জমা নিয়ে বিরোধ মিমাংসা করার ক্ষেত্রেও জমির মালিকানা যাচাই করার প্রয়োজন হয়।
ওয়ারিশদের প্রাপ্ত সম্পত্তি বন্টন করার আগেও মৃত ব্যক্তির মালিকানা যাচাই করার প্রয়োজন হতে পারে। কেননা অন্য কারো জমি দাপুটে ভোগদখল করার নজির আমাদের দেশে আছে।
খতিয়ানে কি কি উল্লেখ থাকে? | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
জমির খতিয়ানে মালিকানা তথ্য সহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেক থাকে। যেমন-
- প্রজা বা জমি দখলদারের নাম, ঠিকানা, পিতার নাম ও প্রজা বা দখলদার কোন শ্রেণীভুক্ত।
- প্রজা বা দখলদার কর্তক জমির অবস্থান, পরিমান ও সীমানা।
- জমির মালিকের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা।
- এস্টেটের মালিকের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা।
- খতিয়ান তৈরি করার সময় খাজনার পরিমান ও ২৮,২৯,৩০ বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনা। গরু
- চরণভুমি, বনভুমি ও মৎস খামারের জন্য ধারণকৃত অর্থ।
- খাজনার যে পদ্ধতিতে নির্ধারিত করা হয়েছে তার বিবরণ।
- ২৬ ধারা মোতাবেক নির্ধারিত এবং ন্যায়সঙ্গত খাজনা।
- খাজনা বৃদ্ধিক্রম থাকলে তার বিবরণ।
- ইজারাকৃত জমির ক্ষেত্রে জমির মালিকের অধিকার ও কর্তব্য।
- প্রজাস্বত্ব বিশেষ শর্ত ও তার পরিনতি।
- পথ চলার অধিকার ও জমি সংলগ্ন অন্যান্য অধিকার।
- নিজস্ব জমি হলে তার বিবরণ।
- খতিয়ান নং, মৌজা নং, জেএল নং, দাগ নং, বাট্রা নং, এরিয়া নং ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
খতিয়ানের প্রকারভেদ | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
আমাদের দেশে এ যাবৎ তিনটি জরিপ হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী জমির খতিয়ান বিভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন-
- সিএস খতিয়ান
- এসএ খতিয়ান
- আরএস খতিয়ান
- বিএস খতিয়ান/সিটি জরিপ
- এখানে উল্লেখ্য যে, বিএস খতিয়ান/সিটি জরিপ আর এস খতিয়ানের অন্তভুক্ত সেই হিসাবে খতিয়ান তিন প্রকার।
সিএস খতিয়ান। (Cadastral Survey)
এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম যে জরিপ হয় সেটাই হচ্ছে সিএস খতিয়ান (Cadastral Survey)। এই জরিপ ১৮৮৭ সালে শুরু হয়ে ১৯৪০ সালে শেষ হয়।
এই জরিপ কক্সবাজারের রামুতে শুরু হয় এবং দিনাজপুরে শেষ হয়। জরিপ চলাকালে সিলেট আসাম প্রদেশ এর সাথে সংযুক্ত এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম জমিদারি প্রথার সাথে বাঙ্গালীদের বিরোধ থাকায় এই দুটি অঞ্চল সিএস জরিপের আওতায় আনা হয় নাই।
সুতরাং সিএস জরিপ হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জরিপ এবং এর খতিয়ানকে সিএস খতিয়ান বলা হয়।
এই খতিয়ান উপর থেকে নিচ লম্বালম্বিভাবে হয়। একদম উপরে বাংলাদেশ ফরম নং ৫৪৬৩ লিখা থাকে।
এসএ খতিয়ান । (State Acquisition Survey)
১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হয়। আইন পাশের পর ততকালিন সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ সাবস্ত করেন।
এই সময় সরকারি আমিনগণ সরেজমিন অর্থাৎ মাঠে না গিয়ে অফিসে বসে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে খতিয়ান তৈরি করেন। এটাকে এসএ খতিয়ান বলে। কোন কোন অঞ্চলে এ খতিয়ানকে টেবিল খতিয়ান বা ৬২ খতিয়ান বলা হয়।
সরেজমিন না গিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয় বলে এ খতিয়ানে অনেক ধরণের অসমতা দেখা দেয়।
এ খতিয়ান সাধারণত এক পৃষ্ঠায় হয়ে থাকে এক কখন প্রিন্ট হয় না অর্থাৎ হাতে লেখা খতিয়ান হচ্ছে এসএ খতিয়ান।
আরএস খতিয়ান। (Revisional Survey)
সিএস খতিয়ান সম্পন্ন হওয়ার ৫০ বছর অতিক্রম করে আরিএস জরিপ শুরু হয়। আগের খতিয়ানের ভুল সংশোধন করে এতটাই স্বচ্ছ করা হয় যে, মালিকানা, দখলদার বিরোধ কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে এটির উপর নির্ভর করতে হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই জরিপ পরিচালনা করা হয় বলে এর খতিয়ানকে বাংলাদেশ খতিয়ানও বলা হয়।
আরএস খতিয়ান সিএস খতিয়ানের মত লম্বালম্বি দাগ টানা থাকে তবে এটি এক পৃষ্ঠায় হয়। ফরমের একদম উপরে হাতের ডান পাশে ‘রেসার্তে নং’ লেখা থাকে।
বিএস খতিয়ান/সিটি জরিপ। (City Survey)
বাংলাদেশে সর্বশেষ যে জরিপ (1998-1999 সালে) অনুষ্ঠিত হয় যেটার কাজ এখন চলমান রয়েছে। টাকা অঞ্চলে এটা মহানগর জরিপ হিসাবে পরিচিত লাভ করে।
বি এস খতিয়ানে ৯ টা কলাম থাকে এবং জমির ধরণ কি তা উল্লেখ থাকে। যেমন- চাষের জমি, পুকুর ইত্যাদি।
জমির মালিকানা যাচাই করার নিয়ম | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
বর্তমানে আপনি দুইভাবে জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন। যেমন – এক. কোন খতিয়ান সম্পর্কে যদি আপনার সন্দেহ হয় তাহলে খতিয়ানটি নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে খতিয়ানের ভলিয়াম দেখুন।
আপনার খতিয়ান ভলিয়মের সাথে মিল থাকলে খতিয়ানটি সঠিক নচেৎ জালিয়াতি করা হয়েছে।
দুই. অনলাইনের মাধ্যমেও খতিয়ানটি যাচাই করে নিতে পারেন নিজে নিজেই। আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেটে ইন্টারনেট সংযোগ করে অনলাইনে জমির কাগজ দেখতে পারেন।
- আরো জানুন:
অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করবেন কিভাবে?
অনলাইনে জমি খারিজ বা নামজারি করবেন কিভাবে?
জমি বেদখল হলে উদ্ধার করেবর কিভাবে?
ভূমি তথ্য ব্যাংক কি? | অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই এবং জমির খতিয়ান/ জমির পর্চা বের করার সহজ নিয়ম ২০২৩
অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই ও খতিয়ান বের করার নিয়ম
ডিজিটাল এই যুগে ভূমি সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কোথাও না গিয়ে নিজে নিজে বাসায় বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জমির মালিকানা যাচাই করাসহ যে কোন খতিয়ান বের করা যায় খুব সহজেই।
ল্যাপটপ/কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ মোবাইলে জমির খতিয়ান দেখে নিতে পারবেন।