অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আবেদন ২০২৩ । NID bd এই বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনাদের বয়স কত লাগবে? কিভাবে আপনারা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন? নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন ফি কত? কত কার্য দিবসের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডটি পাব? ইত্যাদি প্রশ্ন আপনারা সচারচর করে থাকেন। আর আপনাদের এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের নতুন ভোটার নিবন্ধন করা খুবই সহজ ব্যাপার। আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন এবং আপনার যদি উপযুক্ত বয়স থাকে তাহলে খুব সহজেই নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কিংবা নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে নানারকম ভোগান্তিতে পড়ে থাকেন। আর নতুন ভোটারদের জন্য আবেদন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন ধন্যবাদ।
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে ২০২৩ | অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আবেদন ২০২৩
আপনার প্রায় সই জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে, নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? আর আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমরা খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়েছি। নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার এসএসসি সার্টিফিকেট, পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন কার্ড, নাগরিকত্ব সনদ লাগে। এছাড়াও পিতা বাদে আপনাদের রক্তের সম্পর্ক আছে এরকম দুইজন আত্মীয়র জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি ও ঠিকনার প্রমাণ হিসাবে ইউটিলিটি বিলের কপি, হোল্ডিং ট্যাক্স রশি দ এছাড়াও বাড়ি ভাড়া রশিদ প্রয়োজন হতে পারে।
অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদনের পিন কপি ও নিম্নচিত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফটোকপি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে।
💡এসএসসি অথবা সমমানের সার্টিফিকেট ( বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে)
💡অনলাইনে জমা দেওয়া ফার্মের পিন কপি
💡জন্ম নিবন্ধন কার্ড (বয়স প্রমাণের জন্য)
💡বাবা- মা, স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (অবশ্যই)
💡পাসপোর্ট/টিন সার্টিফিকেট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (বয়স প্রমাণের জন্য)
💡ইউটিলিটি বিলের কপি/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ/বাড়ি ভাড়ার রশিদ (ঠিকানা প্রমাণ হিসাবে)
💡নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য হিসাবে)
অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন ২০২৩ | জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন
অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কিভাবে করবেন সে বিষয়টি আপনাদের জানা জরুরী। অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর হতে হবে। আপনার বয়স যদি ১৬ বছরের বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন নাই তাহলে এখনই অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করে নিন।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় 2023 । nid card download
তারপর আপনার আবেদন সংশ্লিষ্ট উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনের কাগজপত্র সহ জমা দিন। আপনার এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর নির্বাচন অফিস থেকে আপনার ছবি ও আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক তথ্য) প্রদানের জন্য ডাকা হবে।
নতুন ভোটার নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র আপডেট একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর আপনি যেকোনো সময় যে কোন মুহূর্তে যেকোনো জায়গা থেকে নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে নিম্নলিখিত যোগ্যতা সম্ভব থাকতে হবে:
💡বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
💡পূর্বে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নিবন্ধন করা হয়নি।
💡বয়স ১০ বছরের কম নয়।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ | নতুন ভোটার আবেদন ফরম ডাউনলোড ২০২৩
অনলাইনের মাধ্যমেই নতুন ভোটার কার্ড আবেদন করার জন্য আপনাকে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার নিজ উপজেলা অফিসে জমা দিন। আপনার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ার পরেই ভোটার আইডি কার্ডটি তৈরি হয়ে যাবে।
💡NID Application System এ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন;
💡ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন;
💡অনলাইন আবেদন জমা করুন;
💡আবেদন ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন;
💡বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করুন;
💡জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড/ সংগ্রহ করুন।
আপনার নিম্নোক্ত আবেদনটি নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার পর ভেরিফিকেশন শেষে আপনাকে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ প্রদানের জন্য ডাকা হবে। আর সেখান থেকে আপনাকে একটি ভোটার নিবন্ধন স্লিপ দেওয়া হবে। পরবর্তী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদনটি অনুমোদিত হলে তারপর আপনি অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন ২০২৩ | ভোটার নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড pdf
কিভাবে আপনারা অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন করার আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবেন তা বিস্তারিত এখানে দেখা হলো। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করা তথ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনলাইনে আবেদন করার অনেক সুবিধা রয়েছে এরমধ্যে যে সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যাপারটি সেটা হল যে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনার নিজের তথ্য আপনি নিজেই দেখেশুনে প্রদান করছেন। আর এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর আপনার দেওয়া তথ্য উপর ভিত্তি করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি রিফারে পেয়ে যাবেন।
মাধ্যমেই নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধনের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
👉অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তাদের যে নিবন্ধিত ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। আমরা তার লিংক দিচ্ছি https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ লিংকটি ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন। আর আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমরা সমস্ত বিষয় ছবির মাধ্যমে দিয়ে রেখেছি। যার কারণে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিতে পারবেন।
উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করার পর আপনি এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। কাজেই আপনাকে নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করুন এখানে ক্লিক করতে হবে।
আবেদন করুন এই বাটনে ক্লিক করার পর এরকম একটি ইন্টারফেস আপনাদের সামনে শো হবে। আর এখানে আপনি দেখতে পারবেন।
পুরো নাম (ইংরেজিতে): এখানে আপনি আপনার নির্ভুল নামটি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
জন্ম তারিখ: প্রথমে আপনার জন্ম সনের দিনটি দিতে হবে, তারপর মাস এবং পরবর্তীতে বছর দিতে হবে। তবে সাবধান জন্ম তারিখ যেন ভুল না হয়।
ছবিতে প্রদর্শিত কোডটি প্রবেশ করান: উপরে উল্লেখিত ক্যাপচা অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করুন। পরবর্তীতে ‘বহাল’এই বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ইন্টারফেসের জন্য অপেক্ষা করুন।
ওপরে ছবির নেয় একটি ইন্টারফেস পাবেন। আর এখানে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে। আপনার নিজের মোবাইল নম্বরটি দিয়ে “বার্তা পাঠান” এই বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তী ইন্টারফেস এর জন্য অপেক্ষা করুন।
নিশ্চয়ই আপনার ফোনে একটি ছয় ডিজিটের ভেরিফিকেশন পিন প্রেরণ করা হয়েছে। আর উক্ত তিনটি কপি করে যাচাই-করণ করতে প্রদান করুন এই ড্যাশবোর্ড দিন। “বহাল”এই বাটনে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী ইন্টারফেসের জন্য অপেক্ষা করুন।
উপরের উল্লিখিত ছবির মতো একটি ইন্টারফেস পাবেন। আর এই দেশগুলোতে আপনার যেসব তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে তা জেনে নিন:
ইউজার নেম: এই ড্যাশবোর্ড আপনি ইউজার নেমটি ব্যবহার করুন।
পাসওয়ার্ড: এখানে সুন্দরও গোছানো মনে রাখা যায় এরকম একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
পুনরায় পাসওয়ার্ড লিখুন: আপনি ওপরে যে পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করছেন তা পুনরায় রি টাইপ করুন।
পরবর্তীতে “বহাল” এই বাটনে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী ইন্টারপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করুন।
👉 ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন ২০২৩
জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনের সিস্টেমে আপনার একাউন্টটি রেজিস্ট্রেশন হলে আপনি নিজের মতো একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। আর আপনি যদি অটোমেটিক ভাবে লগইন করতে না পারেন তাহলে পুনরায় আপনার ইউজার নেমটি এবং পাসওয়ার্ডটি দিয়ে লগইন করুন।
উপরের চিত্রের মত একটি ইন্টারফেস আপনারা পেয়ে যাবেন। আর এখানে মূলত আপনার নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করুন এবং পরবর্তীতে এডিট বাটনে ক্লিক করুন।
ওপরের চিত্রের মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন অর্থাৎ নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে আবেদন ফর্মটি তা এখানে দেখতে পারবেন। মোটামুটি এই আবেদন ফরমটিতে আপনাকে অনেকগুলো তথ্য দিতে হবে। এই তথ্যগুলো প্রদানের ক্ষেত্রে আপনাকে সাথে রাখতে হবে:
💡 আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড
💡 আপনার বাবার পরিচয় পত্র
💡 আপনার মায়ের পরিচয় পত্র
💡 রক্তের সম্পর্ক আছে এমন ব্যাক্তির পরিচয় পত্র অর্থাৎ এন আইডি কার্ড।
👉 ব্যক্তিগত তথ্য
নাম (বাংলা)*: আপনার পুরো নামটি বাংলাতে লিখুন।
নাম (ইংরেজি)*: আপনার পুরো নামটি ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষর দিয়ে লিখুন।
লিঙ্গ*: আপনি ছেলে কিংবা মেয়ে কিংবা ছেলে মেয়ে উভয় নয় তা এখানে সিলেক্ট করুন।
রক্তের গ্রুপ*: আপনার রক্তের গ্রুপে জানা থাকলে এখানে বসিয়ে দিন।
জন্ম নিবন্ধন নম্বর*: আপনার জন্ম নিবন্ধন যে নম্বরটি রয়েছে তা এখানে বসিয়ে দিন।
জন্মস্থান*: আপনি যেখানে জন্মগ্রহণ করছেন তা এখানে বসিয়ে দিন।
জাতীয়তা: অবশ্যই জাতীয়তা বাংলাদেশী দিতে হবে।
👉পিতার তথ্য:
পিতার নাম (বাংলা)*: আপনার বাবার নাম বাংলা দিয়ে লিখুন।
পিতার নাম (ইংরাজি)*: আপনার বাবার নাম ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষর দিয়ে লিখুন।
পিতার nid: আপনার বাবার যে এনআইডি কার্ডে রয়েছে তার নাম্বারগুলো এখানে বসিয়ে দিন।
পিতার ভোটার নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে): বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনার পিতার ভোটার নম্বরটি এখানে দিতে পারেন।
মৃত্যুর সন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে): আপনার বাবা যদি মারা যায় তাহলে এখানে যে সনে মারা গেছে তার বছর উল্লেখ করুন।
👉মাতার তথ্য:
আপনার বাবার যে তথ্যগুলো উপরে পূরণ করছি। তার নিয়ম অনুসরণ করে নিচে আপনার মায়ের তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করুন।
বড় ভাই/বোনের তথ্য: এক্ষেত্রে আপনার বড় ভাই কিংবা বড় বোন যদি থেকে থাকে তাদের নাম বাংলা দিয়ে লিখুন।
বড় ভাই/ বোনের এনআইডি: আপনার বড় ভাই কিংবা বড় বোনের যদি এনআইডি কার্ড থেকে থাকে তাহলে তার নম্বর ঠিকানা প্রদান করুন।
স্বামী/স্ত্রীর তথ্য: বৈবাহিক অবস্থা অবশ্যই দিতে হবে এবং স্বামী বা স্ত্রীর নাম অনুযায়ী জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পূর্ণ করবেন।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ “অন্যান্য তথ্য” ক্লিক করুন:
উপরের চিত্রের মত একটি ফরম পেয়ে যাবেন। আর এখানে যেসব তত আপনার কাছে চাওয়া হবে: এখানে দিতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনার পেশা কি? টিন নম্বরটি প্রদান করুন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর যদি থেকে থাকে তাহলে দিন, সনাক্তকরণ চিহ্ন বাংলা দিয়ে লিখুন, আপনার ধর্ম কি তা লিখুন, পাসপোর্ট নম্বরটি এখানে প্রদান করুন, মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে পরিশেষে যদি আপনার টেলিফোন নম্বর যদি থাকে তাহলে দিয়ে দিন।
এরপর আপনি ঠিকানা অপশনে ক্লিক করুন:
উপরের ছবির মত একটি ফরম আপনাদের সামনে প্রদর্শিত হবে। আর এখানে যেসব তথ্য চাওয়া হবে:
অবস্থানরত দেশের নাম: আর এই অপশনে আপনি যে দেশে বসবাস করতেছেন সে দেশের নামটি সিলেক্ট করুন।
👉বর্তমান ঠিকানা:
বিভাগ: আপনি বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে কোন বিভাগে বসবাস করেন তা এখানে বসিয়ে দিন।
জেলা: আপনার বিভাগ অনুযায়ী আপনি কোন জেলায় বসবাস করেন সেই জেলাটি এখানে সিলেক্ট করুন।
উপজেলা: জেলা সিলেক্টেড করার সাথে সাথে যে উপজেলায় থাকেন তার নাম এখানে দিতে হবে।
আর.এম. ও নির্বাচন করুন: আর এই আর এম ও এ বিষয়টি অনেকজনেই বোঝেনা। কাজেই আপনাদের বোঝার জন্য আর এম ও সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরছি। RMO কোট বলতে বোঝায় কোন ভোটারের জাতীয় পরিচয় পত্রের দ্বিতীয় ধাপকে। অর্থাৎ পরিচয় পত্র ১৩ টি সংখ্যার মধ্যে প্রথম দুইটি সংখ্যা হল জেলা কোড উদাহরণস্বর: ঢাকা জেলার কোড-২৬। এবং তার পরের সংখ্যা হল আর এম কোড সিটি কর্পোরেশনের জন্য- ৯, ক্যান্টনমেন্ট-৫, পৌরসভা-২, পল্লী এলাকা-১, পৌরসভার বাহিরে শহর এলাকা-৩, অন্যান্য-৪।
কাগজপত্র আপলোড করুন ও আবেদনটি জমা দিন:
আপনি যে আবেদন করছেন যে তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করছেন সে তথ্যগুলো পুনরায় যাচাই করে নিন। কোথাও যদি কোন কিছু ভুল পেয়ে থাকেন তাহলে তা সংশোধন করুন।
তথ্যসমূহ সঠিক থাকলে আপনার আবেদনপত্রটি নিশ্চিত করুন ও জমা দিন।
অনলাইনে আবেদন জমা হলে ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন a4 সাইজের কাগজ দিয়ে প্রিন্ট করে। আপনি যে এলাকায় ভোটার হচ্ছেন সেই এলাকার নির্বাচন অফিসে আবেদন পত্রটি অন্যান্য কাগজপত্র সহ জমা দিন আর আপনার আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন নিশ্চিত করুন ধন্যবাদ।
👉ধাপ ২- ভেরিফিকেশন
আপনার আবেদনটি উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিস যাচাই বাছাই করবে। যাচাই করার জন্য আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করতে পারে।
👉ধাপ ৩- বায়োমেট্রিক প্রদান
আবেদনটি যাচাই শেষে আপনার ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ (Biometric Information) নেয়ার জন্য ডাকা হবে। এর ১০ থেকে ১৫ দিন পরে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হলেই আপনি অনলাইন হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
👉ধাপ ৪- জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড
আবেদনটি অনুমোদিত হলে, আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাবেন যে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে। আপনার আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা আপনি আপনার NID Application System এর ড্যাশবোর্ড থেকে দেখতে পারবেন।
আবেদনটি অনুমোদিত হলে, ড্যাশবোর্ড এর ডান পাশ থেকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
আরো পড়তে পারেন, হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার উপায়।
আবেদন করতে আপনার কোন অসুবিধা বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। যতটা পারে সাহায্য করার চেষ্টা করবো। তাছাড়া আমাদের ফেইসবুক পেইজে ও আপনার সমস্যা নিয়ে পোস্ট করতে পারেন।
নতুন ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর | বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড
🔍আমি পূর্বে যথাসময়ে ভোটার হতে পারিনি, এখন কিভাবে ভোটার হব?
আপনি যে কোন সময়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
🔍আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?
উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি সেখানে খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।
🔍নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে?
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগে।
🔍ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?
ভোটার তালিকার ডাটাবেজে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার সুযোগ নাই।
🔍ছবি তোলার কত দিন পর NID পাওয়া যায়?
ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তোলার ১ মাসের মধ্যেই NID পাওয়া যায়। তবে যখন নতুন ভোটার হালনাগাদের কাজ চলমান থাকে, তখন কাজের চাপ বেশি হওয়ার কারণে ২ থেকে ৩ মাস লাগতে পারে।
🔍আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?
নতুন আইডি কার্ড করতে কোন টাকা লাগে না