Breaking News
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি? বাংলা বর্ণমালার সংখ্যা, শ্রেণিবিভাগ ও ব্যাকরণগত বিশ্লেষণ

বাংলা ভাষা একটি ধ্বনিগত ভাষা, যেখানে প্রতিটি শব্দ ধ্বনির মাধ্যমে গঠিত হয়। আর এই ধ্বনিগুলোর প্রকাশ ঘটে বর্ণের মাধ্যমে। আপনি যখন বাংলা ভাষা শেখার প্রাথমিক স্তরে থাকেন, তখন প্রথমেই যে জিনিসটি শেখানো হয়, তা হলো বর্ণমালা। এই বর্ণমালার মূল দুটি ভাগ হচ্ছে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ। কিন্তু অনেকেই জানেন না আসলে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি এবং কীভাবে তাদের শ্রেণিবিভাগ হয়।

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ বাংলা ভাষার ভিত্তি গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এদের সঠিক চর্চা ছাড়া সঠিক উচ্চারণ, বানান বা বাক্য গঠন সম্ভব নয়। প্রতিটি বর্ণের আলাদা আলাদা শব্দমূল্য থাকলেও তাদের সম্মিলিত রূপেই ভাষা সমৃদ্ধ হয়। তাই একজন ভাষাপ্রেমী, শিক্ষার্থী বা শিক্ষক হিসেবে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মৌলিক উপাদানগুলোর সঠিক জ্ঞান থাকা।

এই প্রবন্ধে আপনি জানতে পারবেন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি, তাদের সংজ্ঞা, শ্রেণিবিভাগ, ব্যবহারের প্রক্রিয়া এবং আধুনিক বাংলা ভাষায় তাদের অবস্থান ও গুরুত্ব। চলুন বাংলা ভাষার প্রাণ এই বর্ণমালার গভীরে যাই।

স্বরবর্ণের সংজ্ঞা ও সংখ্যা

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি

স্বরবর্ণ বলতে আপনি যে ধ্বনিগুলো এককভাবে উচ্চারণ করতে পারেন, সেগুলোকেই বোঝায়। অর্থাৎ, কোনো বর্ণ যদি নিজে নিজেই একটি পূর্ণ ধ্বনি প্রকাশ করতে পারে এবং তাকে উচ্চারণ করতে অন্য কোনো বর্ণের সাহায্য না লাগে, তবে সেটিই স্বরবর্ণ।

বাংলা ভাষায় মোট ১১টি স্বরবর্ণ আছে। এগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ। এই বর্ণগুলো বিভিন্ন শব্দের শুরু, মাঝখান বা শেষেও ব্যবহৃত হয়। স্বরবর্ণ আবার উচ্চারণের দিক থেকে হ্রস্ব ও দীর্ঘে বিভক্ত হয়। যেমন, ‘ই’ ও ‘ঈ’ — দুটোই স্বরবর্ণ হলেও উচ্চারণের সময় দৈর্ঘ্যে ভিন্নতা দেখা যায়।

স্বরবর্ণের ব্যবহার শুধুমাত্র উচ্চারণে নয়, বরং বাংলা শব্দের বানানেও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, “কলম” শব্দে প্রথম ধ্বনি “ক” ব্যঞ্জনবর্ণ হলেও তার উচ্চারণ সম্ভব হয়েছে “অ” স্বরবর্ণের উপস্থিতিতে। এমনকি প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে অন্তর্নিহিতভাবে একটি ‘অ’ ধ্বনি সংযুক্ত থাকে, যদি না ভিন্নভাবে কোনো চিহ্ন (কার) দিয়ে তা পরিবর্তন করা হয়।

তাই আপনি যদি জানতে চান স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি, তাহলে মনে রাখবেন স্বরবর্ণের সংখ্যা ১১টি। এই ১১টি বর্ণ ছাড়া বাংলা ভাষার উচ্চারণ ও শব্দ গঠন অসম্পূর্ণ।

ব্যঞ্জনবর্ণের সংজ্ঞা ও সংখ্যা

ব্যঞ্জনবর্ণের সংজ্ঞা ও সংখ্যা

যখন কোনো ধ্বনি একা উচ্চারিত হতে পারে না এবং তাকে উচ্চারণের জন্য স্বরবর্ণের সাহায্য লাগে, তখন সেই ধ্বনিকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়। অর্থাৎ ব্যঞ্জনবর্ণ একা উচ্চারিত না হয়ে অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি পূর্ণ ধ্বনি তৈরি করে।

বাংলা ভাষায় মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। এগুলো হলো: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়, ৎ, ং, ঃ, ঁ।

ব্যঞ্জনবর্ণগুলো উচ্চারণের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত। যেমন:

  • স্পর্শধ্বনি: ক, খ, গ, ঘ, চ, ছ ইত্যাদি
  • স্পর্শ-নাসিক্য: ঙ, ঞ, ণ, ন, ম
  • অর্ধস্বরধ্বনি: য, র, ল
  • উষ্মধ্বনি: শ, ষ, স, হ
  • ব্যঞ্জনচিহ্ন: ং (অনুস্বার), ঃ (বিসর্গ), ঁ (চাঁদ্রবিন্দু)

এছাড়াও বাংলা ভাষায় কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার এখনকার সময়ে কমে এসেছে, যেমন: ৎ। এটি শুধুমাত্র কিছু প্রাচীন শব্দে সীমিত।

যখন আপনি জানার চেষ্টা করছেন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি, তখন এই ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণের সঠিক জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ, বাংলা ভাষার অধিকাংশ শব্দ গঠিত হয় ব্যঞ্জনবর্ণের ভিত্তিতে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকে স্বরচিহ্ন।

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের পার্থক্য

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের পার্থক্য সহজভাবে বোঝা গেলেও বাস্তব প্রয়োগে এদের ব্যবধান খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, স্বরবর্ণ নিজে নিজে উচ্চারিত হয়, ব্যঞ্জনবর্ণ তা পারে না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি “আ” একা উচ্চারণ করতে পারেন, কিন্তু “ক” উচ্চারণ করতে হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার সঙ্গে “অ” যুক্ত হয়।

দ্বিতীয়ত, শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে স্বরবর্ণ মূলত বর্ণকে একটি স্বাভাবিক ধ্বনি দেয়, যেখানে ব্যঞ্জনবর্ণ শব্দে কাঠামো গঠন করে। স্বরবর্ণকে ধরা যায় ধ্বনির প্রাণ হিসেবে, আর ব্যঞ্জনবর্ণ হলো তার কঙ্কাল।

তৃতীয়ত, ব্যাকরণগত দিক থেকে স্বরবর্ণে বিভিন্ন কারচিহ্ন (া, ি, ী, ু, ূ, ৃ, ে, ৈ, ো, ৌ) ব্যবহৃত হয়, যা মূলত ব্যঞ্জনবর্ণের ওপর বসে স্বর পরিবর্তন করে। এই চিহ্নগুলোর অনুপস্থিতিতে ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণে ‘অ’ ধ্বনি থাকে।

এই পার্থক্যগুলোর মাধ্যমে আপনি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি এবং এদের আলাদা আলাদা ভূমিকা কীভাবে ভাষার গঠনে অবদান রাখে। উচ্চারণ, বানান, এবং বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে এই পার্থক্যগুলো অত্যন্ত কার্যকর।

বাংলা বর্ণমালার বিবর্তন ও আধুনিক ব্যবহার

বাংলা বর্ণমালার ইতিহাস অনেক প্রাচীন। সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত এই বর্ণমালা প্রথমে প্রাচীন পালি, প্রাকৃত ও অপভ্রংশের প্রভাবে বিকশিত হয়। প্রাচীন বাংলা ভাষায় তখনকার ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা আরও বেশি ছিল এবং কিছু স্বরবর্ণের উচ্চারণও ভিন্ন ছিল।

বর্ণমালার এই বিবর্তনকালে অনেক বর্ণের ব্যবহার বিলুপ্ত হয়েছে বা পরিবর্তিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘ঋ’ ও ‘ৠ’ পূর্বে স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হতো, বর্তমানে ‘ঋ’ সচল থাকলেও ‘ৠ’ আর ব্যবহার হয় না। তেমনি ‘ৎ’ বর্ণটির ব্যবহারে এখনকার প্রজন্ম কিছুটা অনভ্যস্ত।

তবে একটি দুঃখজনক দিক হলো—অনেকেই বর্ণমালার পূর্ণাঙ্গ চর্চা করেন না। অনেকেই জানেন না আজও স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি। তাই স্কুল পর্যায়ে বর্ণমালা শেখানো ও তার ব্যাকরণিক প্রয়োগের গুরুত্ব আরও বাড়ানো দরকার।

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার কৌশল

যখন আপনি বাংলা ভাষা শেখার শুরুতেই ভাবেন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি, তখন শুধু সংখ্যা জানলেই হয় না—প্রয়োজন সঠিক শেখার কৌশলও। বর্ণ শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চিত্রভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি। যেমন, ‘আ’ এর পাশে ‘আম’ এর ছবি দিলে শিশুরা সহজে মনে রাখতে পারে। এইরকমভাবে প্রতিটি বর্ণের সঙ্গে একটি করে পরিচিত শব্দ যুক্ত করলে শিক্ষার্থীদের শেখা সহজ হয়।

অন্যদিকে, উচ্চারণ চর্চার জন্য কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে শ্রবণভিত্তিক অনুশীলনও উপযোগী। ব্যঞ্জনবর্ণের সঠিক উচ্চারণ নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বর্ণ উচ্চারণ করে বলতে বলা উচিত। বিশেষ করে ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণে অনেক সময় সমস্যা হয় যেমন: ‘ষ’, ‘স’, ‘শ’—এই তিনটি দেখতে আলাদা হলেও উচ্চারণে বিভ্রান্তি হয়। তাই শেখার সময় এদের পার্থক্য স্পষ্ট করা জরুরি।

বাংলা ভাষায় বর্ণের প্রয়োগ ও উদাহরণ

আপনি প্রতিদিন যে ভাষায় কথা বলেন, লেখেন বা পড়েন, সেই বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দেই রয়েছে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয়। এই সমন্বয় ছাড়া একটি শব্দও গঠন করা সম্ভব নয়। যেমন ধরুন শব্দ “বই”—এখানে “ব” ব্যঞ্জনবর্ণ এবং “ই” স্বরবর্ণ। আবার “স্কুল” শব্দে একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একসঙ্গে বসেছে এবং স্বরচিহ্ন ব্যবহারে শব্দের অর্থ নির্দিষ্ট হয়েছে।

বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের তিনটি স্তর দেখা যায়: ধ্বনি, বর্ণ, ও শব্দ। ধ্বনি হলো মৌলিক শব্দতরঙ্গ, বর্ণ হলো তার লিখিত রূপ, আর একাধিক বর্ণ মিলে তৈরি করে অর্থবহ শব্দ। এই গঠন কাঠামো বুঝলেই আপনি আরও পরিষ্কারভাবে বুঝবেন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি এবং তারা কীভাবে কাজ করে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

বাংলা ভাষায় মোট কতটি বর্ণ আছে?

বাংলা ভাষায় বর্তমানে মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। এই ৫০টি বর্ণ বাংলা ভাষার ভিত্তি গঠন করে।

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি?

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি — এ প্রশ্নের উত্তর হলো: স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি। এদের সম্মিলনে বাংলা ভাষার মূলধারা তৈরি হয়েছে।

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে পার্থক্য কী?

স্বরবর্ণ একা উচ্চারিত হতে পারে, কিন্তু ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণ করতে গেলে একটি স্বরবর্ণ যুক্ত হয়। এছাড়াও স্বরবর্ণ কারচিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা ব্যঞ্জনবর্ণে বসে উচ্চারণ ও অর্থ পরিবর্তন করে।

বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে ‘ং’, ‘ঃ’ ও ‘ঁ’ কী ধরনের বর্ণ?

‘ং’ অনুস্বার, ‘ঃ’ বিসর্গ এবং ‘ঁ’ চাঁদ্রবিন্দু। এগুলো ব্যঞ্জনধ্বনির মতো ব্যবহৃত হলেও এদের ধ্বনিগত ও ব্যাকরণিক বৈশিষ্ট্য কিছুটা আলাদা। তবে এগুলোকে ব্যঞ্জনবর্ণের অংশ হিসেবেই ধরা হয়।

‘ৎ’ বর্ণটি কেন এখন কম ব্যবহৃত হয়?

‘ৎ’ বর্ণটি বাংলা ভাষার কিছু ঐতিহ্যবাহী শব্দে ব্যবহৃত হতো, যেমন “নৃত্য”, “কৃত্য” ইত্যাদি। আধুনিক ব্যবহারে এটি অনেকটাই অপ্রচলিত হলেও, বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের হিসাব অনুযায়ী এটি একটি পূর্ণ সদস্য।

উপসংহার

বাংলা ভাষার গঠনমূলক ভিত্তি হলো বর্ণমালা, আর তার মূল দুই স্তম্ভ হলো স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ। আপনি যদি জানতে চান স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি, তাহলে উত্তরটি খুবই স্পষ্ট—১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে মোট ৫০টি বর্ণে বাংলা ভাষা গঠিত। এই বর্ণগুলো শুধু শব্দ তৈরিই করে না, বরং আপনাকে সাহায্য করে সঠিকভাবে ভাব প্রকাশ করতে।

আজকের ডিজিটাল যুগে আপনি চাইলেই বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম থেকে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ চর্চা করতে পারেন। তবে মূল বিষয় হলো—এই বর্ণগুলোর সঠিক ব্যবহার জানা ও প্রয়োগ করা। কারণ, এই মৌলিক উপাদানগুলো ছাড়া ভাষা যেমন অসম্পূর্ণ, তেমনি প্রকাশ ও ব্যাকরণও দুর্বল হয়ে পড়ে।

তাই বাংলা ভাষাকে যদি আপনি ঠিকভাবে ব্যবহার করতে চান, তাহলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি, কীভাবে তারা গঠিত, কীভাবে তারা ভিন্ন এবং কীভাবে তারা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে।

About Vinay Tyagi

Check Also

attitude caption bangla

Attitude Caption Bangla: নিজের স্টাইল প্রকাশের সেরা উপায়

বর্তমান যুগে নিজেকে প্রকাশ করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের …